728x90 AdSpace

  • সর্বশেষ

    মহাশূন্যে যাতায়াত সহজ করবে স্ট্র্যাটোলঞ্চ


    মহাশূন্যে মানুষের যাতায়াত সহজ করতে এবার তৈরি হয়েছে বিমান স্ট্র্যাটোলঞ্চ। এতে আছে ছয়টি টার্বোফ্যান ইঞ্জিন, ২৮টি চাকা। স্ট্র্যাটোলঞ্চরের মূল কাজ হবে, জ্বালানি খরচ কমানো।

    প্রথম দেখায় মনে হবে দুটি বিমান একসঙ্গে জুড়ে আছে। এর মূল উদ্যোক্তা, টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা পল অ্যালেন। কম্পিউটার জগতে বিপ্লবের পর, এবার আকাশসীমায় বিপ্লব ঘটাতে চান তিনি।

    প্রকল্পের যাত্রা শুরু ২০১১ সালে। উদ্দেশ্যও পরিষ্কার। পৃথিবীর কাছের দুই হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত মহাশূন্যকে বলা হয়, ‘লো আর্থ অরবিট’ বা এলইও। পৃথিবীর প্রায় সব স্পেস স্টেশন ও উপগ্রহ এরমধ্যে আছে। স্ট্র্যাটোলঞ্চ বানানোর উদ্দেশ্য এই অঞ্চলে মানুষের যাতায়াতকে আরো সহজ ও সুলভ করা।

    স্ট্র্যাটোলঞ্চের ভাবনাটা হলো, একে পৃথিবীর মাটি থেকে রওয়ানা না করিয়ে, আকাশে নিয়ে গিয়ে তারপর রওয়ানা করানো। এতে যেমন দূরত্ব কমবে, তেমনি মহাকর্ষ শক্তির আকর্ষণও কমবে। ফলে জ্বালানি খরচ বাঁচবে।

    দুই পাশের পাখাসহ বিমানটির প্রশস্ততা ৩৮৫ ফুট। লম্বায় ২৩৮ ফুট। লেজের উচ্চতা ৫০ ফুট। এতে থাকছে ছয়টি টার্বোফ্যান ইঞ্জিন। যার একেকটির ওজন, চার হাজার কেজি। ব্যবহার করা হয়েছে, ২৮টি চাকা। প্রাথমিকভাবে প্রকল্পের বাজেট ধরা হয়েছে ৩০ কোটি মার্কিন ডলার।

     স্ট্রাটোলঞ্চের কাজ চলছে, ক্যালিফোর্নিয়ার মোজাভি মরুভূমির এক এয়ারপোর্টের হ্যাঙ্গারে। আশা করা হচ্ছে, ২০১৯ সাল থেকে আকাশ দাপিয়ে বেড়াবে স্ট্রাটোলঞ্চ।

    ফলে, দানবীয় বিমানের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে চলে যাবে, এখন পর্যন্ত র্শীষস্থানে থাকা, ‘আন্তোনভ আন-২২৫’। 

    জেএইচ
    • Blogger Comments
    • Facebook Comments

    0 মন্তব্য(গুলি):

    Item Reviewed: মহাশূন্যে যাতায়াত সহজ করবে স্ট্র্যাটোলঞ্চ Rating: 5 Reviewed By: MASUM MIA
    Scroll to Top