ভালোবাসা-কেয়ারিং-শেয়ারিং-এর মধ্য দিয়ে দিনে
দিনে তৈরি হয় যে সম্পর্ক, তারও আছে নানা ধরন। প্রিয় মানুষের সঙ্গে
সম্পর্কটা যখন শুধুই রক্ষার করার জন্যই বয়ে বেড়াতে হয়, তাকে কি সুস্থ
স্বাভাবিক সম্পর্ক বলা যায়?
আসুন জেনে নেই প্রিয়জনের সঙ্গে সম্পর্কটা কেমন হলে, অসুস্থ-সুস্থ বলবেন।অসুস্থ সম্পর্ক
১. সঙ্গীর পছন্দ, অপছন্দ যদি আপনাকে চাপে ফেলে।
২. সঙ্গীর মধ্যে ঈর্ষাপরায়নতা এবং অধিকার প্রবণতা দেখা যাবে। কোথায় যান, কি করেন, কার সাথে কথা বলেন, কার সাথে দেখা করেন যদি এসব বিষয়ে আপনার সঙ্গীকে বলতে হয়।
৩. সব বড় বড় সিদ্ধান্তগুলো আপনার সঙ্গী নেয়, আপনার মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে।
৪. আপনার সঙ্গীর প্রতিক্রিয়ার কথা যদি আপনাকে সবসময় ভাবতে হয় ।
৫. আপনার নিজস্ব জগতটা যদি সঙ্গীর কারণে ছোট হয়ে আসে।
৬. দৈহিক মিলনের ক্ষেত্রে আপনি যদি চাপ অনুভব করেন।
৭. নিজেকে উপেক্ষা করে যদি সঙ্গীর প্রয়োজনকে বড় করে দেখতে হয়।
৮. সঙ্গী যদি আপনাকে দায়ী করে।
৯. ভয় দেখায়।
১০. ঘন ঘন রাগ করে।
এবার জেনে নেই সুস্থ সম্পর্ক সম্পর্কে:
১. পরস্পর পরস্পরের ব্যক্তি স্বাতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে২. কোনো হিংসা থাকবে না। আপনার বন্ধু-বান্ধব আত্মীয় স্বজন আপনার সঙ্গী সহজভাবে গ্রহণ করবে।
৩. নিজেদের মধ্যে আলোচনা হবে, ভিন্ন মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে।
৪. পারস্পারিক বিশ্বাস থাকবে।
৫. একে অপরকে বদলাবার চাপ থাকবে না।
৬. দুজনেরই একান্ত ব্যক্তিগত জগত থাকবে।
৭. দৈহিক সম্পর্কের জন্য চাপ থাকবে না।
৮. দু’জনেই দু’জনার আচার-আচরণ, আবেগ অনুভুতির দায়িত্ব স্বীকার করবে। পরস্পরকে দায়ী করবে না।
সম্পর্কের সীমাবদ্ধতাগুলো কাটিয়ে প্রিয় সঙ্গীর পাশে থেকে সম্পর্কের যত্ন নেই, মূল্যায়ন করি, সুস্থ সম্পর্কে বাঁচি।
ডা. এস এম আতিকুর রহমান
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, মনোরোগ বিদ্যা বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন