ষ প্রশ্ন : আমার মুখে দু-একটা ব্রণ হলেই কালো দাগ পড়ে যায়। এই দাগ অনেক দিন থাকে। ব্রণ ওঠা কীভাবে কমবে?
ূ উত্তর :সব সময় মুখ পরিস্কার রাখতে হবে। ওমেন্স ওয়ার্ল্ড টি-ট্রি ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে প্রতিদিন দু'বার। রাতে ঘুমানোর সময় ওমেন্স ওয়ার্ল্ড জেল শুধু ব্রণের ওপর দেবেন। এভাবে তিন-চার দিন ব্যবহারে ব্রণ ভালো হয়ে যাবে। সব সময় স্কিন টোনার ব্যবহার করে অয়েল-ফ্রি রাখতে হবে।
ষ প্রশ্ন : আমার বয়স ৩৫ বছর। এখনই কপালে হালকা ভাঁজ পড়ে গেছে। এটা দেখে আমার অনেক মন খারাপ হয়। আমি এখন থেকে যত্ন নিতে চাই, যাতে এই ভাঁজ আর বাড়তে না পারে।
ূ উত্তর :আপনি সপ্তাহে দু'দিন ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন। সব সময় মুখ ধোয়ার পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। এখন থেকেই কোলাজেন ক্রিম ব্যবহার করুন। তাহলে এ সমস্যা আর দেখা দেবে না।
ষ প্রশ্ন : শীতকাল এলে আমার মুখ অনেক শুস্ক হয়ে যায় এবং কালো দাগ দেখা যায়। এ সমস্যার কোনো সমাধান আছে কী?
ূ উত্তর :আপনি মুখ ধোয়ার সময় অবশ্যই অরেঞ্জ ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন এবং নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। তা ছাড়া দুধের সর ও গ্লিসারিন একসঙ্গে পেস্ট করে মুখে লাগাবেন সপ্তাহে দুই-তিন দিন। তাহলে আপনার ত্বকের শুস্কতা কমে যাবে।
ষ প্রশ্ন : আমার সমস্যা হচ্ছে মাথার সিঁথিতে চুল নেই। দেখলে মনে হয় সিঁথি করা হয়নি। আমার চুল লম্বা। স্বাভাবিক চুল ওঠে! এর জন্য পরামর্শ দিলে উপকৃত হব।
ূ উত্তর : ক্যারাটিন প্রোটিন নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। ডিম হচ্ছে প্রোটিনের একটি উৎস। ডিমের কুসুম এবং অলিভ অয়েল একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করুন।
ষ প্রশ্ন : আমার মুখে কোনো উজ্জ্বলতা নেই। সব সময় মুখটা কেমন খড়খড়ে লাগে। কোনো মেকআপ করতে পারি না। এ সমস্যার সমাধান কী?
ূ উত্তর :আপনাকে সপ্তাহে দু-তিন দিন ফেস স্ট্ক্রাবিং করতে হবে। বাসায় চালের গুঁড়া ও ডালের গুঁড়ার সঙ্গে দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট দিয়ে সপ্তাহে দুই-তিন দিন নিয়মিত স্ট্ক্রাবিং করলে আপনার মুখের খড়খড়ে ভাব চলে যাবে।
ষ প্রশ্ন : আমার গায়ের রঙ কালো। সবাই কিছু না বললেও আমার নিজের কাছে অনেক খারাপ লাগে। কীভাবে কিছুটা ফর্সা হওয়া যায়?
ূ উত্তর :আপনাকে আলফাবেটা ফেসিয়াল নিতে হবে। ১৫ দিন পরপর ৪টা সিটিং করে দুই মাস নিলেই আপনার স্কিন অনেক উজ্জ্বল হয়ে যাবে। তা ছাড়া বাসায় উপটান ব্যবহার করবেন।
ষ প্রশ্ন : আমার হাত-পা শীতকালে অনেক শুস্ক হয়ে যায়। নখের চারপাশে খড়খড়ে থাকে। এই শীতে আমি কীভাবে আমার হাত-পায়ের যত্ন নেব?
ূ উত্তর :কুসুম গরম পানিতে শ্যাম্পু ও লবণ মিশিয়ে হাত-পা ভিজিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। ব্রাশ দিয়ে হালকা ঘষে মৃত কোষগুলো উঠিয়ে ফেলে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। এতে হাত-পা মোলায়েম হবে।
ষ প্রশ্ন : আমার বয়স ৪০। এখনই চুল পেকে যাচ্ছে। এর কোনো সমাধান আছে?
ূ উত্তর :আপনাকে সপ্তাহে তিন দিন অয়েল ম্যাসাজ করতে হবে। তা ছাড়া সপ্তাহে দু'দিন আমলা, শিকাকাই, মেথি ও টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগাবেন। আধা ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করবেন। সঠিক পুষ্টি পেলে আপনার চুল পাকা কমে আসতে পারে।
ষ প্রশ্ন : আমার মুখে সাদা সাদা গুঁড়ির মতো চামড়া ওঠে। কোন ফেসিয়াল করব এবং বাসায় কীভাবে মুখের যত্ন নেব?
ূ উত্তর :মুখে আলফাবেটা ফেসিয়াল নিতে হবে। অ্যালার্জি থাকলে এনজাইম ফেসিয়াল নিতে হবে। সব সময় মুখ পরিস্কার রাখবেন এবং শুস্ক হওয়ার আগেই ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন।
ষ প্রশ্ন :সূর্যের পোড়া দাগ পিগমেনটেশন দূর করতে কী ব্যবহার করব?
ূ উত্তর :মুলতানি মাটি সমানভাবে কার্যকরী। আমল্ড অয়েল বা কাস্টার অয়েলের সঙ্গে মুলতানি মাটি মিশিয়ে মুখে লাগান। এটি ত্বকের পিগমেন্টেশন দূর করার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক মোলায়েম করতে সাহায্য করে।
ষ প্রশ্ন :গরমে ঘেমে তৈলাক্ত ত্বক একদম মলিন হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে কী করতে পারি?
ূ উত্তর :প্রথমে আপনার মুখে তৈলাক্ত ভাব কমাতে হবে। বরফ দিয়ে মুখে ঘষতে হবে ১০-১৫ মিনিট। পরে মুখে মুলতানি মাটি শসার রস দিয়ে দিতে হবে সপ্তাহে ২ বার।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন