নায়িকার নাম বুবলী। চলচ্চিত্রে পথচলা তার অল্প হলেও খ্যাতি পেয়েছেন
ঈর্ষণীয়। যে ক’টি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে তার সবগুলোই পেয়েছে
দর্শকপ্রিয়তা। নতুন নায়িকা হিসেবে বুবলীর এটা বড় অর্জন। তাকে নিয়ে লিখেছেন
মাদিহা মাহনূর
চারের পর্ব পেরিয়ে পাঁচের পথে পা বাড়ালেন
তিনি। পাঁচ নম্বরের কাজটাই যেন এখন শেষ করার চেষ্টা চলছে। বলছি বুবলী
অভিনীত পাঁচ নম্বর চলচ্চিত্রের কথা। গেল ৬ অক্টোবর বিএফডিসিতে বুবলী অভিনীত
নতুন চলচ্চিত্র ‘চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্যা মাইয়া’ চলচ্চিত্রের শুটিং
শুরু করেছেন। এতে যথারীতি তিনি শাকিব খানের বিপরীতেই অভিনয় করছেন। এর আগে
বুবলী অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত চারটি চলচ্চিত্র হলো ‘বসগিরি’, ‘শুটার’,
‘অহংকার’ ও ‘রংবাজ’। চারটি চলচ্চিত্রেই তার বিপরীতে ছিলেন সময়ের শীর্ষ নায়ক
শাকিব খান। তবে বুবলী জানান, ধরাবাঁধা এমন কোনো নিয়ম নেই যে শাকিব খান
ছাড়া তিনি অন্য কারো বিপরীতে অভিনয় করবেন না। তিনি বলেন, ‘আমার
মুক্তিপ্রাপ্ত চারটি সিনেমারই নায়ক কাকতালীয়ভাবে শাকিব খান। পাঁচ
নম্বরটিতেও শাকিব খান। তবে যেহেতু আমি চলচ্চিত্রে কাজ করতে এসেছি। ভালো
গল্প, ভালো চরিত্র, গুণী নির্মাতা, বাজেট ঠিকঠাক হলে অন্য নায়কের সঙ্গে
কাজের প্রস্তাব এলে অবশ্যই করব।’ এরমধ্যে একদিন বুবলী অভিনীত নতুন সিনেমার
শুটিং হলেও আবারও নতুন সিডিউলে তার নতুন সিনেমার শুটিং শুরু হবে। বুবলীকে
নিয়ে এখন পর্যন্ত যারা কাজ করেছেন, তারা এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, বুবলী
তার কাজের প্রতি সত্ ও পরিশ্রমী। যে কারণে ঢাকাই চলচ্চিত্রে তার নিজের
অবস্থান তার কাজের মাধ্যমেই তিনি করতে পারবেন। একজন সংবাদ পাঠিকা থেকে
নায়িকা তকমা পাওয়ার বিষয়টি কেমন উপভোগ করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বুবলী
বলেন, ‘আগে তো আমার কাজের দর্শক ছিল ছোটপর্দার, এখন বড়পর্দার। বড়পর্দার
ব্যাপ্তি বিশাল। সেলুলয়েডের ফিতায় বন্দী হওয়ার সৌভাগ্য যে হবে, কখনো এটা
ভাবিনি। আমার পরিবার কিন্তু শুরুতে সিনেমায় আমার কাজ করার বিষয়ে সম্মত ছিল
না। কিন্তু পরে তাদের আমি আশাহত করিনি, তাই তারা এখন আমাকে নির্দ্বিধায় কাজ
করতে দিচ্ছেন। আমিও আমার মনের মতো চরিত্র আর গল্প পেলেই কাজ করছি। টানা
অনেক অনেক চলচ্চিত্রে কাজ করতে হবে এমনটি নয়। ভালো কয়েকটি সিনেমাতে কাজ
করতে পারার মধ্যেই আমি নিজের সন্তুষ্টি খুঁজে পাই। দর্শকের এখন প্রতিনিয়ত
অনেক অনেক সিনেমা দেখারও সময় নেই। তবে এটা ঠিক, ভালো সিনেমা হলে দর্শক তা
হলে গিয়ে দেখেন। আমার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রতিটি সিনেমাই দর্শক হলে গিয়ে
দেখেছেন। বিশেষ করে ‘বসগিরি’ ও ‘অহংকার’ মুক্তির সময় আমি বেশ ভালো সাড়া
পেয়েছি। এটা সত্য যে, দর্শকের কারণেই আমি সিনেমার বুবলী হতে পেরেছি।
সেইসঙ্গে আমার প্রতিটি চলচ্চিত্রের প্রযোজক, পরিচালক, সিনেমাটোগ্রাফার,
মেকআপ আর্টিস্টসহ ইউনিটের সবার প্রতিই আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞ
দর্শকের প্রতি আবারও, কারণ তাদের কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে টিকেট কেটে আমার
অভিনীত সিনেমা উপভোগ করেছেন। বাংলাদেশের সিনেমার ইতিহাসে ছোট্ট করে হলেও
আমার নামটি লেখা থাকবে অনেক অনেক গুণী মানুষের ভিড়ে—এটাও যে কম নয়, এটাও
আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।’
ছবি মোহসীন আহমেদ কাওছার
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন