লাক্স-চ্যানেল
আই সুপারস্টার নির্বাচিত হয়েছেন মিম মানতাশা। সৌন্দর্য তো বটেই,
মেধা-আত্মবিশ্বাস আর উপস্থিত বুদ্ধিতে বারো হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে
শ্রেষ্ঠ হয়েছেন তিনি। প্রতিযোগিতার কঠিন সব ধাপ পেরিয়ে এসে বিচারক ও
দর্শকের ভোটের পাশাপাশি সামগ্রিক পারফরমেন্সের বিচারে এবারের আসরে সেরার
মুকুট পরেছেন তিনি। তাকে সেরার স্ল্যাশ পরিয়ে দেন আরেক লাক্স তারকা বিদ্যা
সিনহা মিম।
পুরস্কারের
অর্থমূল্য হিসেবে তিনি জিতে নেন ৫ লাখ টাকার চেক এবং একটি ব্র্যান্ড নিউ
গাড়ি। এছাড়াও চ্যানেল আই থেকে নির্মিত একটি বিশেষ নাটকে তাহসান খানের
বিপরীতে অভিনয়ের সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। এবারের আসরে প্রথম রানার আপ হয়েছেন
সারওয়াত আজাদ বৃষ্টি, পুরস্কারের অর্থমূল্য হিসেবে তিনি পান ৪ লাখ টাকা।
সেকেন্ড রানার আপ হয়েছেন সামিয়া অথৈ, তার পুরস্কারের অর্থমূল্য ৩ লাখ টাকা।
তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর
রেজা সাগর।
তিন মাসের পথপরিক্রমার পর প্রায় ১২ হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে সেরার মঞ্চে এসে দাঁড়ায় পাঁচ তরুণী। রূপ, সৌন্দর্যের লড়াইয়ে চূড়ান্ত আসরে অগ্নিপরীক্ষায় তারা মুখোমুখি হন কঠিন সব প্রশ্নের।
গতকাল
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল
অব ফেমে আয়োজিত তারকাবহুল জমকালো এক সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল লাক্স
চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার এবারের আসর। এবারের প্রতিযোগিতায়
প্রধান তিন বিচারক সাদিয়া ইসলাম মৌ, তাহসান খান ও আরিফিন শুভর সঙ্গে বিশেষ
বিচারক হিসেবে প্যানেলে আসেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর,
নাট্যব্যক্তিত্ব আলী যাকের, অভিনেত্রী রুমানা রশিদ ঈশিতা। ‘চ্যানেল আই
প্রেজেন্ট লাক্স সুপারস্টার’-এর এবারের মূল প্রতিপাদ্য ‘দেখিয়ে দাও অদেখা
তোমায়’।
অনুষ্ঠানে দেওয়া হয় এবারের আসরের আরো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার। ‘মোস্ট কনফিডেন্ট’ অ্যাওয়ার্ড পান পূজা, ‘মোস্ট এন্টারটেইনিং’ অ্যাওয়ার্ড পান তাইবা, ‘মোস্ট স্টাইলিশ’ অ্যাওয়ার্ড যায় সেরা পাঁচের ইশরাতের ঝুলিতে। পুরস্কারগুলো তুলে দেন নাট্যব্যক্তিত্ব সারা যাকের, অভিনেতা ফেরদৌস, রূপ বিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শীর্ষ পাঁচ প্রতিযোগী সামিয়া অথৈ, মিম মানতাশা, সারওয়াত আজাদ বৃষ্টি, ইশরাত জাহিন এবং নাবিলা আফরোজকে নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। এরপর এবারের লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার টাইটেল ট্র্যাক ‘তুমি অদম্য, অজেয়’- গানের সঙ্গে পারফর্ম করেন তারা। এরপর সাদিয়া ইসলাম মৌ, তাহসান খান ও আরিফিন শুভ তিনটি মিউজিক্যাল কোরিওগ্রাফির সঙ্গে পারফর্ম করেন। তাহসান খান নিজের গানের সঙ্গে পারফর্ম করেন, পরে মৌ ও তার দলের কোরিওগ্রাফিতে নারী শক্তির জাগরণের কথা ফুটিয়ে তোলেন।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে মঞ্চে আসেন পূর্বের লাক্স সুন্দরী মেহজাবীন চৌধুরী, জাকিয়া বারী মম, মিম, সামিয়া সাঈদরা। অপূর্ব দেহভঙ্গিমার সঙ্গে নাচের মুদ্রায় তারায় তারায় আলোকিত হয়ে ওঠে মঞ্চটি।
১৯৯৫
সালে লাক্স-আনন্দধারা ফটোজেনিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সুন্দরী প্রতিযোগিতার
শুরু হয় বাংলাদেশে। এরপর নানা পথপরিক্রমায় এই প্রতিযোগিতায় যুক্ত হয়
চ্যানেল আই ও ইউনিলিভার বাংলাদেশ। ‘লাক্স সুপারস্টার’ নামে প্রতিযোগিতা
শুরু হয়েছিল ২০০৫ সাল থেকে।
ইত্তেফাক/কেকে
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন